একমালিকানা ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র | NCTB BOOK
5k
Summary

এক মালিকানা ব্যবসায়ের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একে অন্যান্য ব্যবসায় থেকে আলাদা করে। এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যবসায় এবং খুব সহজে প্রতিষ্ঠিত হয়। নীচে এর প্রধান বৈশিষ্ট্যাবলী উল্লেখ করা হলো:

  • সহজ প্রতিষ্ঠা: যে কোনো ব্যক্তি সহজেই একটি একমালিকানা ব্যবসা গঠন করতে পারে, সরকারি আইন ও নিয়মের বাধ্যবাধকতা নেই।
  • মূলধনের সরবরাহ: মালিক নিজস্ব সঞ্চয় বা ঋণের মাধ্যমে মূলধন সরবরাহ করে।
  • ঝুঁকি বহন: ব্যবসায়ের সব ঝুঁকি শুধুমাত্র মালিকের দায়িত্বে থাকে।
  • ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব: ব্যবসায় পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব মালিকের।
  • দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ: ব্যবসার আকার ছোট হওয়ায় মালিক দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
  • হিসাব সংরক্ষণ: হিসাব তৈরির ক্ষেত্রে কোনো কঠোর নিয়ম নেই, মালিক নিজের পছন্দে হিসাব রাখতে পারে।
  • নমনীয়তা: একমালিকানা ব্যবসায়ে কর্তৃত্বের কারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব।
  • প্রত্যক্ষ সম্পর্ক: মালিক নিজেই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে, যা ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের সাথে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক তৈরি করে।
  • স্থিতিশীলতা: ব্যবসার স্থায়িত্ব মালিকের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল এবং মালিক ব্যবসা বন্ধ বা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

এক মালিকানা ব্যবসায়ের স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অন্যান্য ব্যবসায় থেকে একে পৃথক করে রাখে। এক মালিকানা ব্যবসায় হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যবসায়। একমালিকানা ব্যবসায়ে আইনগত তেমন ঝামেলা নেই এবং যে কেউ ইচ্ছে করলে স্বল্প পুঁজি নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করতে পারে।

নিম্নে একমালিকানা ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ চিহ্নিত করা হলো—

  • এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করা খুবই সহজ ও সরল। যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো সময়ে এ প্রকার কারবার গঠন করতে পারে । এরূপ কারবার স্থাপন করার জন্য সরকারি আইন ও নিয়মের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না।
  • এ জাতীয় ব্যবসায়ের মূলধন মালিক নিজেই সরবরাহ করে। সে নিজস্ব সঞ্চয় হতে মূলধনের সংস্থান করতে পারে অথবা প্রয়োজন হলে নিজের দায়িত্বে অপরের নিকট হতে ঋণ করে মূলধনের অভাব পূরণ করতে পারে।
  • ব্যবসায়ের সকল ঝুঁকি মালিক একাই বহন করে। মালিকই ব্যবসায়ের প্রকৃত অধিকারী। সুতরাং তাকেই ব্যবসায়ের সমস্ত ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা বহন করতে হয় ।
  • ব্যবসায় পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব হলো মালিকের। অবশ্য মালিক স্বয়ং ব্যবস্থাপনার নীতি ও পদ্ধতি নির্ধারণ করে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের প্রত্যক্ষ পরিচালনার দায়িত্ব কর্মচারীর উপর ছেড়ে দিতে পারে।
  • ব্যবসায়ের আয়তন ক্ষুদ্র হওয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে কাউকে ডাকতে হয় না। মালিক যেকোনো পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে ।
  • হিসাব তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। মালিক তার নিজের মতো করে হিসাব সংরক্ষণ করতে পারে। তাই এক্ষেত্রে একতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাব রাখা হয় ।
  • এরূপ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের একক কর্তৃত্বের অধিকারী হওয়ায় যেকোনো বিষয়ে সে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এজন্য এ ধরনের ব্যবসায়ে অধিকতর নমনীয়তা লক্ষ্য করা যায় ।
  • একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক নিজেই ব্যবসায় পরিচালনা করে বিধায় ক্রেতা, সরবরাহকারি, কর্মচারী ইত্যাদি পক্ষের সাথে তার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাই প্রত্যক্ষ সম্পর্ক যেখানে ব্যবসায়িক স্বার্থে অত্যাবশ্যক, সেখানে এ ধরনের ব্যবসায়ই সর্বাপেক্ষা উত্তম ।
  • এরূপ ব্যবসায়ের কোনো আইনগত পৃথক সত্তা নেই। কারবার হতে মালিককে পৃথক করে দেখা হয় না।
  • এরূপ ব্যবসায়ের স্থায়িত্ব মালিকের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। মালিক ইচ্ছা করলে যেকোনো সময় ব্যবসায় গুটিয়ে ফেলতে পারে। আবার ইচ্ছা করলে যতদিন খুশি ততদিন পর্যন্ত সে কারবার চালু রাখতে পারে।
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...